Please Enable JavaScript in your Browser to Visit this Site.

Islam

যাদের চুল, নখ, মোচ কাটার আজকেই কেটে ফেলুন চাঁদ উঠলে কিন্তু আর কাটা যাবে না

আজ সন্ধ্যায় চাঁদ উঠলেই শুরু হয়ে যাবে খুব মর্যাদার মাস, জিলহজ্জ। অনেকেই জানি, রোজার মাসের শেষ দশরাত বছরের সেরা ১০ রাত হিসাবে স্বীকৃত ৷ আচ্ছা, তাহলে সেরা ১০ দিন কোনগুলো?

এইযে, জিলহজ্জ মাসের প্রথম দশদিন! হাদিসে এসেছে, জিলহজ্জের শুরুর দশদিনের আমল আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জতের কাছে সবচাইতে পছন্দের ❤️

 

img 648fd3f03da45

এই দশটাদিন তাই নেক আমল, ফরজ ও নফল নামাজ, প্রচুর কুরআন তেলাওয়াত, দান সদকা, (প্রথম ৯দিন) নফল রোজার পাশাপাশি আরেকটা সুন্নাহ আমরা মিস করবোনা ইনশাআল্লাহ। সেটা কী? কুরবানি দেই বা না দেই, “জিলহজ্জ মাসের চাঁদ উঠার পর থেকে কুরবানির দিন পর্যন্ত আমরা আমাদের নখ, চুল, গোঁফ, শরীরের যেকোন ধরণের লোম — কোনোটাই কাটবো ছাটবো না”।
তাতে লাভ কী হবে? পশু কুরবানির নিয়ত থাকলে রাসূল (সাঃ) এর একটা নির্দেশ মেনে চললাম ; আর যদি আমার কুরবানি দেওয়ার সামর্থ্য না থাকে, আল্লাহ চাহে তো এই ছোট্ট কাজটাই পরিপূর্ণ কুরবানি হিসাবে গণ্য হবে। সুবহানআল্লাহ!
অতএব, যাদের এগুলো বড়সড় হয়ে আছে, নতুন চাঁদ উঠার আগে আজকেই কেটে/ছেটে/উপড়ে ফেলি ঝটপট। যেন পরিষ্কার শরীর ও পরিচ্ছন্ন মন নিয়ে ঝাপ দিতে পারি আমলের সাগরে, যেন ঈদের দিন নিজকে আবারো ক্লিন করে কুরবানির সওয়াব ঝুলিতে ভরতে পারি!
→ উম্মে সালামাহ (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ “তোমাদের মধ্যে যারা কুরবানী দেওয়ার ইচ্ছা রাখে, তারা যেন জিলহাজ্জ মাসের চাঁদ ওঠার পর হতে কুরবানী সম্পন্ন করা পর্যন্ত স্ব স্ব চুল ও নখ কর্তন করা হতে বিরত থাকে।” [মুসলিম, মিশকাতঃ১৪৫৯]

→ আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ “আমি কুরবানীর দিনকে ঈদের দিন হিসেবে নির্ধারণ করার জন্য আদিষ্ট হয়েছি। আল্লাহ উক্ত দিনটিকে এই উম্মতের জন্য ঈদ হিসেবে নির্ধারণ করেছেন।

এক ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করলোঃ ইয়া রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ! আমি যদি একটি মাদী মানীহা (উটনী) ব্যতীত অন্য কোন পশু কুরবানীর জন্য না পাই, তাহলে আপনি কি (আমাকে) অনুমতি দিবেন যে, আমি উক্ত মাদী মানীহাকেই কুরবানী করবো। জবাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ না ! তুমি উক্ত পশুটিকে কুরবানী করবে না। বরং তুমি কুরবানীর দিনে তোমার (মাথার) চুল ও হাত-পায়ের নখ কাটবে। তোমার গোঁফ খাটো করবে এবং তোমার নাভির নিচের চুল কাটবে। এটাই আল্লাহর নিকট তোমার পূর্ণ কুরবানী (অর্থাৎ এর দ্বারা তুমি আল্লাহ পাকের নিকট কুরবানীর পূর্ণ সাওয়াব পাবে)।” [মুসনাদে আহমদ- ৬৫৭৫, ইবনে হিববান- ৭৭৩,আবু দাউদ-২৭৮৯, নাসায়ী- ৪৩৬৫]

পায়ের নখে অনাকাঙ্ক্ষিত ইনফেকশন এড়াতে-

# নিম্নে দেখানো নিয়মে নখ কাটবেন,
# লুজ করে জুতো পড়বেন,
# যারা অনেক্ষন সুজ পড়ে থাকেন তারা সময় নিয়ে মাঝে মাঝে সু খুলে নখে বাতাস লাগাবেন,
# নখ যাতে ভেজা না থাকে সেই চেস্টা করবেন,

# কোন প্রকার আঘাত যাতে না লাগে, সতর্ক থাকবেন।

img 648fd42cd5473

Copy Post Link:

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Adblock Detected

Our website is made possible by displaying online advertisements to our visitors.
Please consider supporting us by whitelisting our website.