পুরাতন ল্যাপটপ ক্রয় করার কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস
পুরাতন কম্পিউটার বা ল্যাপ্টপ কেনার আগে যা জানা প্রয়োজন
Table of Contents
পুরাতন কম্পিউটার বা ল্যাপ্টপ কেনার আগে যা জানা প্রয়োজন
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন ? আশা করি আপনারা সকলে ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদেরকে “সেকেন্ড হ্যান্ড ল্যাপটপ ক্রয় করার কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস” শেয়ার করবো
প্রসেসর?
2nd হ্যান্ড Laptop কিনার ক্ষেত্রে কি করবেন? প্রথমে দেখবেন আপনার প্রসেসর কোন জেনারেশনের? বর্তমানে মার্কেটে 11th/12th জেনারেশনের প্রসেসরের ল্যাপটপ পাওয়া যায়। core i5 ল্যাপটপ যদি 5th /6th/7th জেনারেশন হয়ে থাকে আর Core i3 যদি 10th Gen হয় তাইলে Core i3 ল্যাপটপই ভালো।
ল্যাপটপ এর ডিসপ্লে-
ল্যাপটপ এর ডিসপ্লে স্ক্রিন ঠিক আছে কিনা এটা চেক করে নেয়া সবসময় দরকার। বেশি flickering, discoloration, brightness, bad pixels থাকলে ল্যাপটপটা না কেনাই ভালো। bad pixel মূলত স্ক্রিন এর এলসিডি স্ক্রিন এর উপর একটা কালো বিন্দু বা অন্য রঙের বিন্দুর মতো মনে হয় যেটা খুবই অস্বস্তিজনক।
এবার bad pixels আছে কিনা তা আপনি বুঝবেন কি ভাবে? অনেকসময় সাধারণ ভাবে এটা চোখে পড়ে না। তবে আশার কথা হলো এর জন্য অনেক ফ্রি সফটওয়্যার /ক্রোম এক্সটেনশন আছে যেগুলো দিয়ে আপনারা এটি বুঝতে পারবেন।যেমন Bad Pixel Test ক্রোম এক্সটেনশন ইনস্টল করে আপনারা নানা রং এর ডিসপ্লে টেস্ট করে bad pixel ধরতে পারেন।
পুরাতন ল্যাপটপ এর বয়স বোঝার উপায়?
বিক্রেতা বলছে বিদেশ থেকে ল্যাপটপে আসছে মাত্র ১-২ মাস ব্যবহার করা অথচ ল্যাপটপ 5th/6th জেনারেশন। বিশ্বাস করবেন না কারণ বাংলাদেশের মার্কেটে (IDB, গ্লোবাল, কম্পিউটার সোর্স, রায়েন্স, ফ্লোরা ) আপনি নতুন ল্যাপটপে কিনতে গেলে বর্তমানে 8/9th জেনারেশনের ল্যাপটপই পাবেন না। সেখানে বিদেশ থেকে ১-২ মাস আগে কি করে 5th/6th জেনারেশন ল্যাপটপ আসবে? এইটা মনে রাখবেন ল্যাপটপ এর দাম মূলত প্রসেসর এর উপরে না প্রসেসর এর জেনারেশন এর উপরে নির্ভর করে। জেনারেশন যত বেশি হবে ল্যাপটপ এর দাম তত বেশি হবে।
HDD না SSD ?
বর্তমানে SSD কার্ডের ল্যাপটপ কেনার চেস্টা করবেন কারণ HDD এর ল্যাপটপ অনেক স্লো হয় । আর যদি ল্যাপটপে SSD না থাকে সেই ক্ষেত্রে SSD কার্ড লাগানোর স্লট আছে এমন ল্যাপটপ নিবেন যাতে পড়ে SSD লাগাতে পারেন।
গ্রাফিক্সঃ
Intel HD Graphics এইটা আসলে কোন গ্রাফিক্সের ভিতরই পরে না । এইটা সব ল্যাপটপ কমবেশি বিল্টীন থাকে। চাইবেন ডেডিকেটেড গ্রাফিক্স সহ নিতে। ডেডিকেটেড গ্রাফিক্স ল্যাপটপ এর দাম নর্মাল ল্যাপটপ থেকে বেশি কিছুটা বেশি হয়।
কোন ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ কিনব ?
সেটা আপনার বাজেটের উপরে নির্ভর করে। সনি, অ্যাপল , ফুজিতসু এই ব্র্যান্ডের ল্যাপটপের দাম অন্য ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ থেকে অনেক বেশি। আর Dell , Asus , Acer , HP , Lenovo , TOSHIBA , এই ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ গুলো সমজাতীয় , হয়ত 19-20 এর বাইরে হলে কেউ মার্কেটে টিকে থাকতে পারত না।
পুরাতন ল্যাপটপ কিনার সময় কি কি চেক করব?
ল্যাপটপের প্রতিটা কি মানে বাটন একটা একটা করে চেক করবেন কারণ একটা কি খারাপ হলে পুরা কিবোর্ড চেঞ্জ করতে হবে। USB পোর্ট গুলো চেক করবেন। ওয়েবক্যাম , সাউন্ড , DVD ROM ইত্যাদি চেক করে নিবেন।
ব্যাটারি ব্যাকআপঃ
পুরাতন ল্যাপটপের গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হলো ব্যাটারি। কারণ, ল্যাপটপ যত পুরাতন হবে ব্যাটারি লাইফ ততই কমতে থাকবে। তাই পুরাতন ল্যাপটপ কিনার আগে অবশ্যই ভালোভাবে ল্যাপটপের ব্যাটারি লাইফ দেখে নিন।
Warranty
Warranty ২ ধরণের হয় – ১ ) সার্ভিস warranty বা লেবার ওয়ারেন্টি ২ ) পার্টস অ্যান্ড লেবার warranty বা কোম্পানির ওয়ারেন্টি।
১) সার্ভিস warranty হল আপনার ল্যাপটপের কোন পার্টস নষ্ট হলে পার্টস নিজের টাকায় কিনতে হবে তারা পার্টস লাগানোর জন্য কোন সার্ভিস চার্জ নিবে না।এই warranty দেওয়া আর নে দেওয়া সেম কারণ তারা পার্টসের দাম কিছুটা বেশি ধরে সার্ভিস এর টাকা টাও উসুল করে ফেলে। এই ধরণের warranty সাধারণত সেকেন্ড হ্যান্ড শপ গুলো দিয়ে থাকে।
২) পার্টস অ্যান্ড লেবার warranty বা কোম্পানির ওয়ারেন্টি । কোম্পানির ওয়ারেন্টি এটাই মূলত আসল warranty . warranty এর মেয়াদ চালু কালে সকল ধরণের সমস্যা কোম্পানি ফ্রি দিয়ে থাকে আপনার পকেট থেকে এক টাকাও বাড়তি খরচ করতে হবে না।
আপগ্রেড সুবিধাঃ
আপনি যে ল্যাপটপ কিনতে চাইছেন সেই ল্যাপটপে কতটুকু আসলে আপগ্রেড করা যাবে সেটা ভালো ভাবে জেনে নেওয়া উচিত । কারণ অনেক ল্যাপটপ আছে অনেক পুরাতন হওয়ার কারণে আপগ্রেড করা যায় না । তাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে বেশি পুরাতন হলে না নেওয়া উত্তম হবে ।
শেষ কথা :
পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে উপরের বিষয়গুলি মাথায় রাখলে আপনারা ঠকবেন না। তবে পুরানো ল্যাপটপ এর পারফরমেন্স কখনোই নতুন ল্যাপটপ এর মতো হবে না ।
পোস্ট ভালো লাগলে দয়া করে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ।