Please Enable JavaScript in your Browser to Visit this Site.

LifeStyleAndroid TipsUncategorized

মোবাইলের সামনে শরীরের কোন ক্ষতি ছাড়াই দীর্ঘ সময় কাটানোর উপায়

মোবাইলের ক্ষতিকর আলো থেকে চোখ রক্ষা করার উপায়

বর্তমানে আমাদের একটা দিনও মোবাইল ছাড়া চলেই না । আর যারা মোবাইল দিয়ে ইউটিউবিং করেন অথবা মোবাইলে বেশি সময় দেন তাদের তো বেশিরভাগ সময় মোবাইলের সামনেই থাকতে হয় । আমি যেহেতু Tech Help BD এর এডমিন এবং মোবাইল দিয়ে ইউটিউবিং করি তাই আমি ২৪ ঘন্টার মধ্যে মিনিমাম ১৭ ঘন্টাই মোবাইলের সামনে থাকি । কারণ আমাকে মেম্বারদের নানা সমস্যার সমাধান দিতে হয় ।

তো এভাবে লং টাইম কোন প্রটেকশন ছাড়া যদি আমরা মোবাইল কম্পিউটারের সামনে থাকি তাহলে কিন্তু আমাদের চোখের বিরাট বড় ক্ষতি হয়ে যাবে । তাছাড়া কোমর ব্যথা,গাড় ব্যাথা এগুলো তো সাথে একদম ফ্রি । তাই আজকে আমি আপনাদের সাথে আমার ইউজ করা কিছু ব্লু লাইট ফিল্টার এপ, ২০-২০-২০ রুলস মেনটেইন করার এপ, রেডিয়েশন থেকে বাঁচার উপায় সহ প্রয়োজনীয় কিছু রিসোর্স এবং টিপস শেয়ার করতে যাচ্ছি ।

যতদিন দুনিয়াতে থাকবেন কাজ করে যেতে হবেই তবে চোখের প্রতি অবহেলা না, চোখের এবং শরীরের যত্ন নিয়েই কাজ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব ।

তাছাড়া আমার টিপসগুলো ফলো করার মাদ্ধমে আপনি আপনার শরীরকে হাইড্রেট রাখতে পারবেন । যেহেতু আমাদের দেহের ৭০% ই পানি তাই আমাদেরকে সেই পানির চাহিদাও পূরণ করতে হবে । লং টাইম কম্পিউটার বা মোবাইল নিয়ে বসে থাকলে অনেকে পানি তো দূরের কথা ঠিকভাবে ভাত খাওয়ার কথাই ভুলে যান ।

তো আজকে আপনাদেরকে কমপ্লিট সলিউশন দেওয়ার ট্রাই করবো তবে আপনাকে অবশ্যই আমার দেওয়া টিপস গুলো ফলো করতে হবে না হয় এই পোস্ট কস্ট করে পইড়েন না আর । হুদাই কাজের কাজ না করলে পোস্ট পড়ে কি হবে ।

প্রথম ট্রিকঃ মোবাইলে ব্লু লাইট ফিল্টার ব্যাবহার করুন

এখন আমি স্মার্টফোনের ক্ষতিকর আলো থেকে চোখকে বাঁচানোর কিছু সহজ উপায় শেয়ার করতে যাচ্ছি ।

মোবাইল মূলত ব্লু লাইটের মাধ্যমে আমাদের চোখের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে থাকে । তো এখন আমাদেরকে মোবাইল থেকে বের হওয়া এই ব্লু লাইটটাকে কমাতে হবে বা ফিল্টার করতে হবে ।

ব্লু লাইট ফিল্টারের জন্য আমি আমার Samsung J4+ মোবাইলে থাকা ব্লু লাইট ফিল্টার ব্যাবহার করি ।

এখনকার প্রায় সব মোবাইলের নোটিফিকেশন বারে এই ব্লু লাইট ফিল্টার অপশনটা থাকে ।

img 610ecc4993085

আর তাছাড়া এটায় ট্যাপ করে ধরে রাখলেই আমি Opacity কমানোর বাড়ানোর অপশন পাই যার মাধ্যমে আমার চোখের জন্য যে লেভেল আরামদায়ক ঐটা আমি ইউজ করি । যেহেতু আমি অনেকদিন থেকে ইউজ করে অভ্যস্ত হয়ে গেছি তাই একদম ফুল লেভেলে বাড়িয়ে ব্যাবহার করি । এতে ব্লু লাইট অনেকটাই ফিল্টার হয় ।

img 610ecd3b90587

আর যাদের মোবাইলে ব্লু লাইট ফিল্টার করার অপশন নাই সেক্ষেত্রে আপনারা প্লেস্টোর থেকে ভালো রেটিং এবং সবচেয়ে বেশি ডাউনলোড হওয়া যেকোন একটা এপ ব্যাবহার করতে পারবেন । আমি পার্সোনালি সাজেস্ট করবো Blue Light Filter এপ ইউজ করার জন্য ।

তবে আপনি চাইলে প্লেস্টোরে Blue light filter app লিখে সার্চ দিয়ে প্রথম কয়েকটা বেস্ট এপের রিভিউ ইউটিউবে দেখে ডাউনলোড করতে পারেন । এতে আপনি এপ ডাউনলোড না করেই এপ সম্পর্কে আইডিয়া পেয়ে যাবেন এবং এটাই আপনার জন্য বেস্ট হবে ।

img 610ecfa71775f

দ্বিতীয় ট্রিকঃ Eye Reminder এপ দিয়ে ২০-পানি-২০-২০ রুলস মেনে চলুন

নরমালি জনপ্রিয় ২০-২০-২০ রুল হলো ২০ মিনিট পর পর আপনার মোবাইল স্ক্রিন থেকে চোখ সরিয়ে ২০ ফিট দূরের কোন কিছুর দিকে ২০ সেকেন্ড তাকানো । তবে এতে করে শুধু আপনার চোখের ক্ষতি কমবে আপনি যদি এর সাথে আরকেটা রুল এড করে নেন তাহলে কিন্তু মন্দ হয়না । এতে আপনার পুরো বডির ক্ষতি কমবে ।

আজকে আমি আপনাদের সাথে একটু ভিন্ন ভাবে ২০-২০-২০ রুলসটা শেয়ার করবো মানে একটু মডিফাই করে  ২০-পানি-২০-২০ রুলস শেয়ার করছি । যেটা আসলে আমি নিজে ফলো করি । এতে লাভ কি?

লাভের আগে প্রসেসটা শেয়ার করি তারপর লাভ কি সেটা আপনারাই বুঝে যাবেন ।

তো আমি যেটা করি, মোবাইলে Eye Reminder এপটা ব্যাবহার করি যেটার সাইজ মাত্র ৬ এমবি এবং এটা প্রতি ২০ মিনিট পর পর আমার মোবাইলের স্ক্রিনে চলে আসে তখন আমি ২০ সেকেন্ড ব্রেক নেই, চোখের ব্যায়াম করি । আপনি চাইলে ১০ মিনিট পর পর অথবা আপনার পছন্দ মতো সময়ও সেট করে নিতে পারেন এই এপ থেকে ।

তাছাড়া এই এপটা আপনাকে কিছু চোখের ব্যায়ামও দেখাবে এগুলোও করতে পারেন ।

img 611374d19fff8

তো এই ২০ সেকেন্ডে আমি যেটা করি প্রথমেই আমি আমার পাশে রাখা পানির বোতল থেকে পানি পান করি তারপর ২০ সেকেন্ড দূরে কোথাও তাকিয়ে থাকি । এতে করে আমার শরীর হাইড্রেটেডও থাকে আবার চোখও কিছুটা রেস্ট পায় । এই Eye Reminder এপ আসলেই কাজের ।

img 6112823a97afc

তৃতীয় ট্রিকঃ রেডিয়েশন থেকে বাঁচার উপায়

 

মোবাইলের রেডিয়েশন আমাদের শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর এতে আমাদের ক্যান্সার হতে পারে । শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে টিউমার দেখা দিতে পারে । এখন আমি আপনাদের সাথে রেডিয়েশন থেকে বাঁচার কিছু উপায় শেয়ার করবো ।

যতটা সম্ভব রাউটার থেকে দূরে থাকুন

ওয়াইফাই এর রাউটার থেকেও রেডিয়েশন বিচ্ছুরিত হয় তাই যতটা সম্ভব ওয়াইফাই রাউটার থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন

রাতে ঘুমানোর সময় রাউটার অফ রাখুন এবং গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে রাউটার থেকে দূরে থাকা জরুরি ।

মোবাইলের রেডিয়েশনের ক্ষতি কমানোর উপায়

রাতে ঘুমানোর সময় মোবাইল সাথে নিয়ে ঘুমাবেন না । যদি এটা সম্ভব না হয় কিছু ট্রিক শেয়ার করছি ।

মোবাইলে ফ্লাইট মুড অন করে ঘুমাতে পারেন এবং মোবাইলে যদি ওয়াইফাই কানেক্ট করা থাকে অবশ্যই ঐটা ডিসকানেক্ট করে দিবেন । এতে করে কোন প্রকার নেটওয়ার্কের সাথে আপনার মোবাইল কানেক্টেড থাকবে না এবং আপনিও রেডিয়েশন থেকে বাচতে পারবেন ।

[বিঃ দ্রঃ] ফ্লাইট মুড অন করলে আপনার মোবাইলে কোন প্রকার মেসেজ-কল আসবে না তাই ঘুম থেকে উঠে অন করে নিবেন ।

আশেপাশে কিছু গাছপালা রাখুন

বিশ্বাস করুন বা নাই করুন, প্রকৃতপক্ষে ৩ টি উদ্ভিদ রয়েছে যা কিছু EMF বিকিরণ শোষণ এবং দ্রবীভূত করতে সাহায্য করে, সেইসাথে কিছু বিষাক্ত পদার্থ এবং অভ্যন্তরীণ দূষণ ও শোষণ করে । এসব গাছ আপনার আশেপাশে রাখতে পারেন ।

রেডিয়েশন কমায় এমন কিছু গাছের তালিকা দেয়া হলোঃ

ঘৃতকুমারী (Alo Vera)

অ্যালোভেরা একটি অত্যন্ত নিরাময়কারী উদ্ভিদ। এটি তার পাতার মাধ্যমে ইএমএফ বিকিরণ শোষণ করতে পারে । এটি একটি খরা-সহনশীল উদ্ভিদ, তাই এটির যত্ন নেওয়া এবং আপনার বাড়ির আশেপাশে রাখা খুব সহজ। একটি অতিরিক্ত সুবিধা, যদি কখনো কোথাও কেটে যায়, এটি খুব কাজে আসতে পারে!

ক্যাকটাস

ইএমএফ বিকিরণ শোষণে একটি অত্যন্ত কার্যকর উদ্ভিদ । আমার ডেস্কটপ কম্পিউটারের চারপাশে বেশ কয়েকটি ছোট ক্যাকটাস গাছ আছে।

সানসেভেরিয়া

সাপের উদ্ভিদ নামেও পরিচিত, এটি একটি ছোট গাছ যার পাতা আপনার কম্পিউটার থেকে বিকিরণ শোষণে কার্যকর।

ওয়্যারলেস গ্যাজেট ব্যাবহার করা থেকে বিরত থাকুন

মোবাইল ব্যবহার করার সময় আমরা অনেকেই ওয়ারলেস গ্যাজেট ব্যবহার করি । ওয়্যারলেস ডিভাইসগুলি নিজেরাই একটি ক্ষুদ্র রেডিও -ফ্রিকোয়েন্সি ক্ষেত্র নির্গত করতে পারে যা ক্ষতিকারক হতে পারে । বেশিরভাগ ওয়ারলেস ডিভাইস থেকেই রেডিয়েশন হয় ।

শেষ কথা, প্রয়োজন ছাড়া মোবাইল-কম্পিউটার ব্যাবহার করবেন না এবং যতটা তাড়াতাড়ি সম্ভব মোবাইলে আপনার কাজ সেড়ে ফেলুন ।

সময়মতো খাওয়া দাওয়া করুন

এটি শুনে Silly ফিল হতে পারে তবে আসলেই এক গবেষণায় দেখা যায়, অধিকাংশ মানুষ কম্পিউটারে কাজ করার সময় খাওয়া দাওয়া ছেড়ে কাজে ব্যস্ত থাকেন। আমি নিজেও থাকি । এটা শরীরের জন্য একটি খারাপ অভ্যাস ।

স্বাস্থ্যকর খাদ্য খাওয়া, এবং প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার সত্যিই শরীরকে কম্পিউটার বিকিরণের বিরুদ্ধে লড়াই করার সেরা সুযোগ দেয়।

 

Read More:

পোস্টের একদম শেষ প্রান্তে চলে এসেছি যদি এখনো কারো কোন সমস্যা থেকে থাকে নিচে কমেন্ট করে জানাতে পারেন অথবা নিচ থেকে আমাদের সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে যোগাযোগ করতে পারেন

Copy Post Link:

Related Articles

২ Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Adblock Detected

Our website is made possible by displaying online advertisements to our visitors.
Please consider supporting us by whitelisting our website.